গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি ::: সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তে গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ধারাবাহিক অভিযানে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) প্রায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাচালানী পণ্য, অস্ত্র ও মাদক জব্দ করেছে । তবে এসব অভিযানে কোনো চোরাচালানীকে আটক করা সম্ভব হয়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আজ সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর ভোরে সীমান্তের তামাবিল, প্রতাপপুর, পান্থুমাই ও বাংলাবাজার এলাকায় অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ি, মহিষ, জিরা, পিয়াজ, চকলেট, বডি স্প্রে, চিনি, ফেসওয়াশ, সাবান, হেয়ার জেল, শ্যাম্পু, বিয়ার এবং অবৈধ বালুবাহী ট্রলি জব্দ করে বিজিবি। উদ্ধারকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ নাজমুল হক বলেন, উর্ধ্বতন সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদক ও অস্ত্র পাচার রোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজকের অভিযানে বড় চোরাচালানি চক্রের একটি চালান ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও জানান, জব্দকৃত মালামালের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে ২১ ও ২৪ আগস্ট এবং ৪ সেপ্টেম্বরের অভিযানে মেহেদী, সুপারি, গরু, পিকআপ, ভারতীয় জিরা, শাড়ি, এয়ার গানসহ বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করা হয়। সব মিলিয়ে চারটি অভিযানে প্রায় ৭ কোটি ২২ লাখ টাকার চোরাচালানি মাল জব্দ করা হয়।
তবে প্রশ্ন উঠছে এত অভিযান, অথচ একজনও চোরাকারবারী গ্রেপ্তার হয়নি কেন? স্থানীয়রা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে অভিযান সম্পর্কে আগাম তথ্য পাচার হওয়ায় চোরাকারবারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। এর পেছনে সীমান্ত এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তির হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন তারা।
সীমান্তে চোরাচালান রোধে শুধু মালামাল জব্দ নয়, মূল হোতাদের গ্রেপ্তারও জরুরি, এমন দাবি জানাচ্ছেন সচেতন মহল।
Leave a Reply