সিলেটের কথা :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর রাংপানি এলাকায় দুই পর্যটককে চাকুর ভয় দেখিয়ে ডাকাতির ঘটনায় আটক চারজনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আটক চারজনকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকার মৃত কবির আহমেদের ছেলে নুর মোহাম্মদ রনি (৪২), আদর্শগ্রাম নয়াবস্তি এলাকার আশরাফ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম কিলটন (২০), কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আবদুল মালেক মালু (২৭) ও আসামপাড়া আশ্রয়ণ এলাকার ফখরুল ইসলামের ছেলে সুমন আহমেদ (২৭)।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট থানার উদয়শ্রি গ্রামের সোহেল রানা (৪৫) ও তার সফরসঙ্গী ওয়াজিব উল হক রাংপানি এলাকায় বেড়াতে যান। বিকেল ৪টার দিকে ফেরার সময় এক ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে ভুয়া তথ্য দেয় যে সামনে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্য পথে নিয়ে যাওয়ার পর নির্জন স্থানে আরও কয়েকজন যোগ দেয়। সেখানে দুইজন তাদের গলায় চাকু চেপে ধরে, পরে আরও তিনজন এসে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ট্রাভেল ব্যাগ থেকে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৯ হাজার ৪০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার পর রাতে ভিকটিম সোহেল রানা জৈন্তাপুর মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তথ্য সংগ্রহ শেষে শনিবার ভোররাতে উপজেলার কেন্দ্রী ঝিঙ্গাবাড়ী এলাকায় একটি বাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। পরে আসামি নুর মোহাম্মদ রনির জামাতার বাড়ি থেকে লুট হওয়া ক্যামেরা, একটি মোবাইল ফোন ও একটি ব্লুটুথ হেডফোন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম সোহেল রানা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পেনাল কোডের ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারা ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, ‘ঘটনার পরপরই আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি তদন্ত শুরু করি। দ্রুত সময়ের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
Leave a Reply