1. admin@sylheterkotha.com : admin :
August 7, 2025, 9:06 pm
Title :
আল-মাদরাসাতু মুহিউস সুন্নাহ আল-ইসলামিয়া মাদরাসায় ব্রিটিশ নাগরিক তানজিনা খাতুনের খাবার বিতরণ ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তপশিল জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর মত দক্ষতা অর্জনভিত্তিক প্রশিক্ষণ ভিডিপি সদস্যদের -উপমহাপরিচালক জিয়াউল হাসান গোয়াইনঘাটে অসহায় ও দরিদ্র শিশুদের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠিত সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে বিএনপি নেতা আমির হোসেনকে সংবর্ধনা ট্রাম্পের তাণ্ডব শুরু! নিশানায় এবার ভারত? ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য তলানিতে যাওয়ার শঙ্কা সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ: প্রধান উপদেষ্টা শুক্রবার থেকে রাজধানীর যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য তলানিতে যাওয়ার শঙ্কা

  • Update Time : Thursday, August 7, 2025
  • 1 Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপ দেশটির চামড়া, রাসায়নিক, জুতা, রত্ন ও গয়না, বস্ত্র এবং চিংড়ি রপ্তানি খাত সবচেয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (৬ আগস্ট) ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রুশ তেল আমদানির কারণে দিল্লির ওপর এই ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। এর ফলে এখন ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, চীন ও তুরস্ক রুশ তেল কিনলেও তাদের ওপর এ ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়নি। ফলে ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্যবস্তু হয়েছে একমাত্র ভারত। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের গবেষণা প্রতিষ্ঠান জিটিআরআই বলেছে, এই শুল্কে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাবে এবং রপ্তানি ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

নতুন শুল্কের ফলে জৈব রাসায়নিক খাতে অতিরিক্ত ৫৪ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। আরও যেসব খাতে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ হবে, তার মধ্যে রয়েছে কার্পেট (৫২.৯ শতাংশ), নিট পোশাক (৬৩.৯ শতাংশ), তাঁতবস্ত্র (৬০.৩ শতাংশ), তৈরি টেক্সটাইল (৫৯ শতাংশ), হীরা, সোনা ও গয়না (৫২.১ শতাংশ), যন্ত্রপাতি ও যান্ত্রিক সরঞ্জাম (৫১.৩ শতাংশ), আসবাব, গদি ও ম্যাট্রেস (৫২.৩ শতাংশ)।

৩১ জুলাই ঘোষিত এই ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে ৭ আগস্ট সকাল ৯টা ৩০ (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) মিনিট থেকে। আরও একটি অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে। এই শুল্ক আগের আমদানি শুল্কের ওপর আরোপিত হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে ১৩১ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ১৩ হাজার ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভারতের রপ্তানি ৮৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ৮৭ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার এবং আমদানি ৪৫ দশশিক ৩ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৫৩০ কোটি ডলার।

এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, যেসব খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেগুলো হলো বস্ত্র বা পোশাক (১০.৩ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩০ কোটি ডলার), রত্ন ও গয়না (১২ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার), চিংড়ি (২.২৪ বিলিয়ন বা ২২৪ কোটি ডলার), চামড়া ও জুতা (১.১৮ বিলিয়ন বা ১১৮ কোটি ডলার), রাসায়নিক (২.৩৪ বিলিয়ন বা ২৩৪ কোটি ডলার) ও বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক যন্ত্রপাতি (প্রায় ৯ বিলিয়ন বা ৯০০ কোটি ডলার)।

কলকাতাভিত্তিক সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিকারক কোম্পানি মেগা মোডার ব্যবস্থাপনা পরিচালক যোগেশ গুপ্ত বলেন, এখন ভারতের চিংড়ি যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি দামে বিক্রি হবে। ইকুয়েডরের সঙ্গে ভারতের প্রতিযোগিতা এখনই তীব্র, তাদের শুল্ক মাত্র ১৫ শতাংশ। ভারতীয় চিংড়িতে ইতিমধ্যে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক ও ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কাউন্টারভেলিং ডিউটি আছে। এই নতুন ২৫ শতাংশ যুক্ত হওয়ায় শুল্ক হবে মোট ৩৩ দশমিক ২৬ শতাংশ। এটি ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের শীর্ষ সংগঠন সিআইটিআই এক বিবৃতিতে বলেছে, ভারতের জন্য কার্যত ৫০ শতাংশ শুল্ক হার গভীর উদ্বেগের বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার।

সংগঠনটি বলেছে, ‘৬ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত শুল্ক ভারতের বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য বিশাল ধাক্কা। আগেই আমরা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে ছিলাম। এই নতুন শুল্কের কারণে তা আরও জটিল হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতার শক্তি কমে যাবে।’ সরকারের প্রতি তারা আহ্বান জানিয়েছে, এ কঠিন সময়ে খাতটিকে দ্রুত সহায়তা দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

কামা জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কলিন শাহ বলেছেন, এ পদক্ষেপ ভারতের রপ্তানিতে বড় ধরনের আঘাত। কেননা, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের মোট রপ্তানির প্রায় ৫৫ শতাংশ এই শুল্কের আওতায় পড়বে।

কলিন শাহ আরও বলেন, ‘৫০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যত আমাদের রপ্তানিকারকদের ৩০-৩৫ শতাংশ প্রতিযোগিতামূলক বাধার মুখে ফেলেছে। অনেক কার্যাদেশ ইতিমধ্যেই স্থগিত হয়েছে। পণ্যের চূড়ান্ত খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সে কারণে ক্রেতারা নতুন করে উৎস যাচাই করছেন, বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পনির্ভর খাতগুলোর জন্য এ খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। মুনাফার হার এমনিতেই কম। এ ধাক্কায় অনেক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিনের ক্রেতা হারাবে।

রপ্তানিকারকদের অবশ্য আশা, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত হলে শুল্কসংক্রান্ত এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে। সূত্রমতে, দুই দেশের মধ্যে এখনো অন্তর্বর্তী বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে কৃষিপণ্য, দুগ্ধজাত দ্রব্য ও জিনতগতভাবে পরিবর্তিত (জিএম) পণ্যে শুল্কছাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে দাবি, সে জায়গায় ভারত অনড় থাকবে, অর্থাৎ তারা ছাড় দেবে না।

দুই দেশ এখন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। ২০২৫ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে প্রাথমিক চুক্তি সইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে কানপুরভিত্তিক গ্রোমোর ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যদবেন্দ্র সিং সচান বলেন, এ পরিস্থিতিতে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রপ্তানিকারকদের নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews