1. admin@sylheterkotha.com : admin :
October 19, 2025, 10:41 am
Title :
রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-সিলেটে ইসি আনোয়ারুল পূজা উদযাপন পরিষদ দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার শাখার বিজয়া পূনর্মিলনী সম্পন্ন সিলেটে নামলো ঢাকার ফ্লাইট : শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত -তারেক রহমান ৭ দিন ধরে শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা, আজ কালো পতাকা মিছিল আফগানিস্তানে পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত ৪০, আহত অন্তত ১৭৯ দেশের মানুষের সেবা করতে দেশেই থাকবেন-এম এ মালিক ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক মানবিক মূল্যবোধ ও জাতীয় ঐক্যের মঞ্চ: ডিসি সারওয়ার আলম বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা হচ্ছে জাতির মুক্তি সনদ-আবুল কাহের চৌধুরী শামীম দক্ষিণ সুরমার ব্যবসায়ীদের সাথে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

গাজার শিশুরা ‘দিনে একবেলারও কম’ খেয়ে আছে

  • Update Time : Sunday, April 20, 2025
  • 89 Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গত ১৮ মার্চ গাজায় আবারও ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে খাবারসহ সকল ধরনের মানবিক সহায়তার ওপর অবরোধ দিয়ে রেখেছে দখলদার বাহিনী। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত চলছে বিমান হামলা।

এমন গাজার শিশুরা দিনে গড়ে একবেলারও কম খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। গাজায় মানবিক সহায়তা পরিচালনা করা ১২টি দাতা সংস্থার প্রধানরা গত বৃহস্পতিবার এক জরুরি সতর্কবার্তায় এ কথা বলেছেন জানিয়ে খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের ১৮ মাসের সামরিক অভিযান ও গত মাসে আরোপ করা পূর্ণ অবরোধের কারণে গাজার মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা ‘সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার উপক্রম’ হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ৪৩টি আন্তর্জাতিক ও ফিলিস্তিনি সহায়তা গোষ্ঠীর প্রায় ৯৫ শতাংশ এরই মধ্যে গাজায় তাদের পরিষেবা স্থগিত বা বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাপকভাবে ও নির্বিচার বোমা হামলার ফলে (গাজায়) চলাফেরা করা খুব বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

দাতা গোষ্ঠী অক্সফামের নীতিবিষয়ক প্রধান বুশরা খালিদী বলেন, ‘শিশুরা দিনে একবেলারও কম খাবার খাচ্ছে ও পরবর্তী বেলার খাবার খুঁজে পেতে লড়াই করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবাই শুধু টিনজাত খাবার খাচ্ছে…গাজায় অপুষ্টি এবং কোনো কোনো জায়গায় নিশ্চিতভাবে দুর্ভিক্ষের ঘটনা ঘটছে।’

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের গাজার জরুরি সমন্বয়কারী আমান্দে বাজেরোল বলেন, ‘এটিকে মানবিক ব্যর্থতা বলা যায় না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণেই এটি ঘটছে। এটি (ফিলিস্তিনি) জনগণের বেঁচে থাকার অধিকারের ওপর ইচ্ছাকৃত আঘাত, যা (ইসরায়েলি সেনারা) দায়মুক্তির সঙ্গে কার্যকর করছে।’

গাজা সিটি থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ গত শুক্রবার বলেন, শিশুদের ফর্মুলা (প্রস্তুতকৃত খাবার) ফুরিয়ে যাচ্ছে। এতে করে শিশু ও নবজাতকেরা অপুষ্টিতে পড়তে যাচ্ছে।

হানি মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অনেক গুরুতর অপুষ্টির ঘটনা দেখেছি। পরিবারগুলো নিজেদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদাও পূরণ করতে পারছে না। এমনকি খুবই ঝুঁকিতে থাকা শিশু এবং নবজাতকদের প্রয়োজনও তারা পূরণ করতে পারছে না। বাজার ও ফার্মেসি থেকে শিশুদের ফর্মুলা মোটামুটি উধাও হয়ে গেছে। ’

গাজার দির আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে কিছু ফিলিস্তিনি আল–জাজিরাকে বলেন, অপুষ্টির কারণে তাদের সন্তানেরা মারা যাচ্ছে।

ছেলে হারানো ফাদি আহমেদ বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তার ছেলের ফুসফুসে ব্যাপক সংক্রমণ শনাক্ত করেন। তার রক্তে অক্সিজেনের তীব্র অভাব দেখা দিয়েছিল। এই বাবা আরও বলেন, ‘দুর্বলতা ও তীব্র অপুষ্টির কারণে ছেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। হাসপাতালে এক সপ্তাহ থাকার পর সে মারা যায়।’

ইন্তিসার হামদান নামের এক নারী বলেন, ‘আমার নাতির মা-বাবা তিন দিন ধরে কোনো দুধ খুঁজে পাননি। ফলে আমার নাতিকে মারা যেতে হলো।’

আল–জাজিরার তারেক আবু আজম বলেন, ‘শিশুরা শুধু অপুষ্টিতেই ভুগছে না; বরং গুরুতর চিকিৎসা জটিলতা ও রোগেও ভুগছে; যা সহজে নিরাময় করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহেও ঘাটতি রয়েছে।’

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, উপত্যকাটিতে অন্তত ৬০ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 Breaking News
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!