1. admin@sylheterkotha.com : admin :
September 11, 2025, 11:29 am

নেপালের ক্ষমতা কি সেনাবাহিনীর হাতে

  • Update Time : Thursday, September 11, 2025
  • 6 Time View

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: নেপালে জেন-জিদের আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন সরকার। যদিও পুলিশ-সেনা মোতায়েন করে সে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করা হয়। গত সোমবার দমন-পীড়নে ১৯ জনের মৃত্যুর পর বিক্ষোভের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এর জেরে মঙ্গলবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। সরকার পতনের পর জনসমর্থন এখন সরকার ও প্রচলিত দলের বিরুদ্ধে।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার পরে নেপালে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। নেপালের গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেপাল সেন্টার ফর কনটেমপোরারি রিসার্চের (এনসিসিআর) পরিচালক বিষ্ণু রাজ উপরেতি বলেন, নেপালে সেনা সমাবেশের ঘটনা আগে সচরাচর দেখা যায় না। তবে এর আগেও দেশটির রাস্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।

বিষ্ণু রাজ বলেন, মাওবাদী বিদ্রোহের শেষের অর্ধেক’ সময়ে সেনা মোতায়েনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণ দেখা যায়। নেপালে ১৯৯৬ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ চলেছিল। এই গৃহযুদ্ধের শুরু হয়েছিল রাজতন্ত্র ও সরকারের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী) সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করলে। ওই বিদ্রোহ শেষে ২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের পতন নয়। যাত্রা শুরু করে প্রজাতন্ত্র।

সোমবার বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর সেনাবাহিনী প্রথম দিকে ব্যারাকেই ছিল। পরে বিক্ষোভ থামাতে পুলিশ ব্যর্থ হলে সেনাসদস্যদের সড়কে নামান প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল। বিষ্ণু রাজ বলেন, পরিস্থিতি বেসামরিক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। তাই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। এটি সংকট থেকে পরিত্রাণের একটি উপায়।

কে পি শর্মা অলির পদত্যাগের পর দেশটি এখন সরকারশূন্য। বেছে নিতে হবে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। মাঝের এই সময়টাতে নেপালে একটি প্রশাসনিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নেপালের পোখরা ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক যোগরাজ লামিচানে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী শুধু শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ করবে। প্রশাসনিক শূন্যতা পূরণের ভূমিকা পালন করবে না।

গবেষক বিষ্ণু রাজ বলেন, তবে বাস্তবতা হলো বর্তমানে কার্যত সেনাবাহিনীই দেশের দায়িত্বে রয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর ওপর প্রেসিডেন্টের অবস্থান। তবে তরুণ আন্দোলনকারীরা তাঁকে মেনে নিচ্ছেন না। ফলে তাঁকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নেপালের দায়িত্বে থাকলেও কার্যত দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!