সিলেটের কথা ::: স্কলার্সহোম শিক্ষার্থীদের আন্দোলন । অপসারিত ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফ চৌধুরী (ইনসেটে) এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সিলেটের বেসরকারি বিদ্যাপীঠ স্কলার্সহোম’র শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থেকে জানানো ৫ টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেওয়া ৬ টি সংস্কার প্রস্তাব মেনে নিয়েছে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে এসব তথ্য জানান, স্কলার্সহোম’র শাহী ঈদগাহ শাখার অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মুনীর আহমেদ কাদেরী (অব.)। তিনি বলেন, স্কলার্সহোম পরিচালনাকারী হাফিজ মজুমদার ট্রাস্টের সভায় শিক্ষার্থীদের সব দাবি ও সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফ চৌধুরীসহ তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়ালের মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এরআগে সোমবারও সকাল থেকে শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এরআগের দিন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে ৫ দফা দাবি ও ৬টি সংস্কার প্রস্তাব জানায় শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১২ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানায় স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ।
এসময় শিক্ষার্থী সায়েম হাসনাত আন্দোলনরত অন্য শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মাইকে বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের ৫ টি দাবি ও ৬টি সংস্কারপ্রেস্তাব মেনে নেওয়ার কথা লিখিতভাবে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিয়ে স্কলার্সহোমের ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফ হোসেনের পদত্যাগ রোববার নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক শামীম হোসেন ও শিক্ষিকা তয়্যিবা বেগমকে অপসারণ করা হয়েছে। এই আন্দোলনের জন্য কোন শিক্ষার্থীকে হেনস্তা করা হবে না। কোন শিক্ষার্থীকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কোন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সাথে খারাপ আচরণ করবে না।
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্কলার্সহোম’র শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়াল (১৯)-এর মরদেহ নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তবে এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আজমানের মত্যুর খবরে ছড়িয়ে পরার পর থেকেই স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তার সহপাঠী ও ওই প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এমনকি অনেক সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও স্কলার্সহোমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকেদের সাথে খারাপ আচরণ, পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষক না থাকা, শিক্ষার্থী খারাপ করলে ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আজমানের দাফন সম্পন্ন হয়।
আজমানের মায়েরও অভিযোগ, প্রি-টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় আজমানকে অপমান করে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ। এছাড়া অভিভাবকদের ডেকে এনে অপমান ও কলেজ থেকে ছাড়তে প্রদান করা হয়।
Leave a Reply