1. admin@sylheterkotha.com : admin :
September 2, 2025, 10:21 pm
Title :
সিলেটে ১২৪৫টি মামলা নিষ্পত্তি-জরিমানা আদায় ২১ লাখ আখালিয়া বীরেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় জেলা প্রশাসকের সাথে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন এর সৌজন্য সাক্ষাৎ বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আলী আহমেদ আলীর মৃত্যুতে আমান আহমদ চৌধুরীর শোক প্রকাশ সিলেটে ২ বিচারক বদলী প্রজ্ঞাপন সিলেট ৮নং ওয়ার্ডে পাড়া কমিটির সভায় কয়েস লোদী বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের র‌্যালী ও সমাবেশ বৃহত্তর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন এডহক ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন নতুন সংবিধানের পথে হাঁটছি, লড়াই দীর্ঘ–সিলেটে এনসিপি নেত্রী তাসনিম জারা গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে বাঁধা সৃষ্টি করতে একটি মহল : বাসদ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:সুনামগঞ্জ জেলার চিত্র

  • Update Time : Wednesday, August 20, 2025
  • 16 Time View

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জে রাজনৈতিক মাঠে নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।

এক সময়ের আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ জেলায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে দৃশ্যপট পাল্টেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগের শূন্যতা পূরণে মাঠে নেমেছে বিএনপি।

সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলা নিয়ে গঠিত পাঁচটি সংসদীয় আসনে এখন বিএনপি’র ব্যতিক্রমধর্মী তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনের ডামাডোল শুরু হওয়ার পর জেলার পাঁচটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করে জামায়াতে ইসলামীও ব্যাপক তৎপর। নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি নিয়ে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন তারা।

তবে ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য ইসলামী দল এবং ছাত্র-তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পাটি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ পাটির (এবি পাটি) নেতাকর্মীদের তৎপরতা বাড়ছে নির্বাচনি মাঠে। পিছিয়ে নেই অন্যান্য ইসলামী দলগুলোও।

সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর)
চারটি উপজেলা নিয়ে গঠিত জেলার বৃহত্তম আসনটি একসময় ছিল বামপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি, পরে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে এলেও তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নজির হোসেনের নেতৃত্বে এটি হয়ে ওঠে বিএনপির দুর্গ। আওয়ামীলীগ বিহীন এ আসনে ভোটের মাঠে মূল লড়াই হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে হবে। আসনটি দখলে নিতে এবার কাজ করছেন বিএনপির অন্তত সাতজন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তারা হলেন- সাবেক ছাত্রনেতা,তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনিসুল হক, ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবদুল মোতালিব খান, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সালমা নজির, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নিজাম উদ্দিন।

তারা নানা কর্মসূচি নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার পাশাপাশি দলের টিকিট নিশ্চিত করার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বেন ভোটের মাঠে।
হাওর অধ্যুষিত এ আসনে তরুনদের মাঝে জনপ্রিয় সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান কামরুল। ছাত্রজীবন থেকেই হাওরকেন্দ্রীক গণমানুষের অধিকারের প্রশ্নে কামরুল ছিলেন সোচ্চার। তাই সহজে তৃনমূলের কাছে নিজেকে করতে পেরেছেন গ্রহণযোগ্য ও আস্থার প্রতীক। উপজেলা, ইউনিয়নে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার প্রচারণা শেষে এখন চষে যাচ্ছেন প্রতিটি ওয়ার্ড। দলীয় টিকিট প্রাপ্তির ব্যাপারে ভীষন আশাবাদী কামরুল সরাসরি নিজের কথা না বলে বললেন, ‘জনমত জরিপে যিনি এগিয়ে থাকবেন তিনিই হবেন এ আসনে বিএনপির কান্ডারী।’

টিকিট পাওয়ার প্রবল বিশ্বাস থেকে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন আনিসুল হক। ইতোমধ্যে তিনি জনগণের ভরসা ও আকাঙ্ক্ষার প্রদীপ হতে পেরেছেন বলে এই বিএনপি নেতার দাবি।

এ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম নজির হোসেনের স্ত্রী সালমা নজির বলেন, ‘দীর্ঘদিন এখানে রাজত্ব করেছেন আমার স্বামী নজির হোসেন। আসনটিকে ধানের শীষের দুর্গে পরিণত করেছিলেন তিনি। তার অবর্তমানে এলাকাবাসীর চাওয়া থেকে আমি মাঠে তৎপর। আশা করছি, দলও আমার ওপর আস্থা রাখবে।’

অপরদিকে একক প্রার্থী নিয়ে জোর প্রচার চালাচ্ছে জামায়াত। এবার দলের জেলা আমির মাওলানা তোফায়েল আহমদ খানকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘জামায়াত আমাকে যোগ্য মনে করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এলাকার মানুষও একজন দক্ষ, দেশপ্রেমিক, ধর্মপ্রাণ ও সৎ লোককে প্রার্থী হিসেবে চাচ্ছিলেন।এবার ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভোটাররা একজোট হচ্ছে। আশা করি, বিজয় কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই ও শাল্লা)
হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এই আসনে দশকের পর দশক কব্জা করে রেখেছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। মৃত্যুর পর নামকাওয়াস্তে এলাকাটি দখলে রাখেন তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর তিনি এলাকা ছাড়েন। এবার আসনটি দখলে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা।

এই আসনে সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নাছির উদ্দিন চৌধুরী। তবে দীর্ঘদিন বরে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে নানা রোগে ভুগছেন। তার পক্ষে কর্মী-সমর্থকরা মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে চালাচ্ছেন প্রচার। এরপর আলোচনায় আছেন ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী রুমি এবং জেলা বিএনপির উপদেষ্টা তাহির রায়হান চৌধুরী পাভেল।

তবে এই আসনে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জামায়াতের প্রার্থী। তিনি সৃজনশীলতা, জনসেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভোটাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। নিজ অর্থে কিশোর-তরুণ-যুবকদের খেলাধূলা-বিনোদনের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ নানা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজের মাধ্যমে কুড়াচ্ছেন প্রশংসা।

এদিকে হিন্দু ভোটারদের পুঁজি করতে কৌশলগতভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা অনিক রায়কে প্রার্থী করার কথা ভাবছে দলটি। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে তৎপর হওয়ার চেষ্টা করছেন অনিক।

সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ)
প্রবাসী অধ্যুষিত এই আসনে যুগ যুগ ধরে রাজত্ব করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। পাশাপাশি শক্ত অবস্থান রয়েছে ইসলামপন্থিদের। এরই প্রভাবে ২০০৫ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন চার দলীয় জোটের প্রার্থী জমিয়ত নেতা মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী। গত নির্বাচনে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে নির্বাচন করে জামানত হারান। পরে তাকে বহিষ্কার করে জমিয়ত। বর্তমানে মাওলানা মামুনুল হক নেতৃত্বাধীন খেলাফত মজলিসে যোগ দিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন মাওলানা শাহীনূর।

এবার ধানের শীষের প্রতীক পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম কয়ছর আহমদ। জেলা বিএনপির হেভিওয়েট দুই নেতা ফারুক আহমদ ও আনছার উদ্দিন তার পাশে থাকায় ভোটের মাঠে ছড়াচ্ছে উত্তাপ।

এছাড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে এগিয়ে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুক্তরাজ্য শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেনও মাঠে তৎপর।

এদিকে একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াত। অ্যাডভোকেট ইয়াসীন খানকে অনেক আগে দলীয় টিকিট দেওয়ায় বিভিন্নভাবে প্রচার চালিয়ে ইতোমধ্যে মাঠে সাড়া ফেলেছেন।

অপরদিকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সৈয়দ তালহা আলম ভোটের মাঠে সরব রয়েছেন। তার দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১২ দলীয় জোটে আছে। তিনি ১২ দলীয় জোট থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী। তার পাশাপাশি তৎপর আছেন দলটির যুক্তরাজ্য শাখার সহ-সভাপতি সৈয়দ তামিম আহমদ এবং হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী।

সুনামগঞ্জ-৪ (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর)
জেলার প্রাণকেন্দ্র নিয়ে গঠিত আসনটিতে বিএনপির রয়েছে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাদের মধ্যে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম নূরুল এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবুল মনসুর শওকত। এই দুই নেতা ছাড়াও এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী সোহেল, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবিদুল হক।

দেওয়ান জয়নুল বলেন, ‘আমি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে দলটির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভোটের মাঠে বড় হয়েছি। চার বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ও একবারের পৌর চেয়ারম্যান ছিলাম। ভোটাররা আমাকে চান। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

আবুল মনসুর বলেন, ‘গত ১৬ বছর আন্দোলন, সংগ্রাম করতে গিয়ে জেল, জুলুমের শিকার হয়েছি। ফ্যাসিবাদ হঠাতে একাধিকবার কারাবরণ করেছি। দল এবার ত্যাগীদের মূল্যায়ন করবে। ভোটারদের আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করবে না।

এদিকে জামায়াতে ইসলামী একক প্রার্থী ঘোষনা করেছে জেলা শাখার নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট শামস উদ্দিনকে। তিনি একক প্রার্থী হওয়ায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নে মতবিনিময়, গণসংযোগ করেছেন। হাটে বাজারে তার কর্মীরা দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। ব্যাপক সাড়াও পাচ্ছেন বলে অ্যাডভোকেট শামসের দাবি।

সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার)
শিল্পনগরী ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনটি স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পাটির দখলে ছিল। এবার জনগণের সেবার সুযোগ চাইছেন বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা। তারা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন এবা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী। তারা উভয়ই ছাতকের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে মিলন ইতোপূর্বে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর মিজানুর ২০১৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এর আগে তিনি একবার ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তবে বিএনপির ঘাঁটিতে এবার থাবা দিতে চায় জামায়াত। ৫ আগস্টের পর সাংগঠনিক কর্মসূচি ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে দলটি। ইতোমধ্যে সব ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনসহ সভা, সমাবেশ ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন মাওলানা আবদুস সালাম আল মাদানী। তিনিও ছাতকের বাসিন্দা।

বিএনপি, জামায়াত ছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের (মামুনুল হক) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন খেলাফত শ্রমিক মজলিশের উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাওলানা সাদিক সালিম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করছেন দলটির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সংখ্যালঘুবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ আশরাফী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews