সিলেটের কথা ::: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে নি। বর্গিরা তাদের দোসরদের রেখে গেছে, তারা লুটপাট করছে। ফ্যাসিস্টরা গেলেও তাদের স্থান নিয়েছে আরেকদল। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে নিজেদের শেষ করে দিচ্ছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে ওইদল রাজী না, তারা নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন সুরে কথা বলতে শুরু করেছে। তারা বুঝেছে, আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের লালকার্ড দেখাবে। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনী ক্যুর স্বপ্ন দেখছে, তা আর এদেশে হবে না। তিনি বলেন, জুলাই আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যারা দাঁড়াবে, তাদের স্থান এ দেশে হবে না।
আট দলের বাইরে যে সকল ইসলামি দল রয়েছে, তাদের জুলাই আকাঙ্ক্ষাবিরোধীদের সঙ্গ ছাড়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৮ দল আগামীতে দেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। বিদেশি শক্তির দাদাগিরি আমরা বরদাস্ত করতে রাজী না।
৮ দলের বাইরে যে সকল ইসলামি দল আছে, তাদের ৮ দলে আসার আহবান জানান তিনি।
দুপুরে সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামি ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় মহাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন,
মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টির দ্বারপ্রান্তে। গত ১৫ বছর ইসলামপন্থী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারপরও অন্যায়ের সামনে তারা মাথানত করে নি। বিদেশি আদিপাত্যবাদীরা ফ্যাসিবাদের উত্থান চায়। আগামী নির্বাচন প্রতীকের নয়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের নির্বাচন। জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ২ ভাগে বিভক্ত। একদল দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।
ইসলামি রাজনীতি রুখে দেওয়ার দেশ বিদেশের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ৮ দলের জনপ্রিয়তায় পরাজিত শক্তির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না। আগামীর বাংলাদেশ প্রতিটি মানুষের অধিকার আদায়ের বাংলাদেশ হবে। বৈষম্যহীন ইনসাফ ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য হাতে হাতে কাজ করতে হবে।
ইসলামি আন্দোলনের সৈয়দ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর বলেন, বিভাগীয় মহাবেশের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষ পাঁচ দফার পক্ষে-এটা প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একাত্ম। সমাবেশে ৮ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply