সিলেটের কথা ::: সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নিত করার কাজ ধীরগতিতে চলার কারণে চালক-যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। মহাসড়কের পাশে সরকারী জায়গার উপর স্থাপনাগুলো অপসারণে ও পুনর্বাসন কাজ প্রায় শেষের দিকে। ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার কিছু অংশের অধিগ্রহণ সম্পন্ন হলেও বেশিরভাগ ভূমির অধিগ্রহন হয়নি এখনো। এ অবস্থায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ৬ লেন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে ও ভূমি অধিগ্রহনের কার্যক্রমে অগ্রগতি ফিরাতে মহাসড়কের নির্মান কাজ পরিদর্শন করেছেন সিলেট জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম।
তিনি দ্রুত মহাসড়কের নির্মান কাজ শেষ করতে ভূমি অধিগ্রহনের কাজ বাস্তবায়ন করতে মহাসড়কের পাশে সরকারি জায়গা দখল উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসক সারোয়ার আলম মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশ পরিদর্শনে আসেন।
এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে স্বাগত জানানো হয়। পরে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের পাশে হাজী মাসহুদ আলী মডেল ফিলিং স্টেশন পরিদর্শন করেন। ফিলিং স্টেশনটি ঢাকা সিলেট হাইওয়ে মহাসড়কের পাশে হওয়ায় সরকারি জায়গা দখলে রয়েছে কি না? তার সীমানা নির্ধারণ এবং পাশেই পিউরিয়া কনফেকশনারী দোকান দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি জয়গা থেকে সরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এছাড়া দয়ামীর ইউনিয়নের চকবাজার ও তাজপুর ইউনিয়নের কাশিখাপন পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে ঢাকা সিলেট হাইওয়ে রোডের ৬ লেন কাজের গতি ঠিক রাখার জন্য বরাদ্দকৃত জায়গা দখল মুক্ত রাখতেও নির্দেশনা প্রদান করেন।
এই বিষয়ে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, মহাসড়কের নির্মান কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে ভূমি অধিগ্রহন তরান্বিত করতে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়। আমরা সেই লক্ষেই ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply