সিলেটের কথা ::: সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক দেবজিৎ সিংহ বলেছেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল অন্যায়-অত্যাচার, শোষণ-নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের চেতনামুখী এক রক্তক্ষয়ী আন্দোলন। ছাত্র-জনতার অক্লান্ত পরিশ্রম, অদম্য সাহসিকতা, অসংখ্য তাজা প্রাণের রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন আমাদের সবার স্বপ্ন বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। তিনি বলেন, দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আন্দোলনের চেতনা ও তাৎপর্য রক্ষা করা আবশ্যক। জুলাই চেতনাকে ধারণ করে আমরা একতাবদ্ধ থাকলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। জুলাই শহীদদের স্মৃতি রক্ষা ও আহত জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসনের উদ্যোগের জন্য সরকার নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে তারুণ্যর আইডিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে আয়োজিত অংশগ্রহণমূলক আইডিয়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) নুরের জামান চৌধুরী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ^জিৎ দেব। বক্তব্য রাখেন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আয়েশা সিদ্দিকা প্রিয়া এবং ফখরুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাস।
অনুষ্ঠানে ‘জুলাই বিপ্লব ভিজ্যুয়াল করিডোর স্মৃতির পথ’ আইডিয়ার জন্য জালালাবাদ ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তুহিন উদ্দিন পার্থ ও তার দলকে প্রথম পুরষ্কার এবং ‘গণজাগরণের গল্প: তরুণদের ক্যামেরায় জুলাই বিপ্লব’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আইডিয়া প্রদানের জন্য শাহজালাল ইউনিভার্সিটি ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশনকে দ্বিতীয় প্ররষ্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম, দ্বির্তীয় ও তৃতীয় হওয়া যথাক্রমে মাহবুব আহমেদ, আহমেদ সাব্বির মাহিন ও মো. আশিকুর রহমান সাকিব এর হাতেও পুরষ্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিবৃন্দ।
Leave a Reply