সিলেটের কথা ::: প্রথমাবের মতো একটি কর্মশালা সিলেটে করলো বাংলােদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। এই কমিশন সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করলেও শিগগির ব্যাপক পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করার প্রত্যাশ ব্যক্ত করলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন ( সচিব) এ এইচ এম আহসান। ”প্রতিযোগীতা আইন, ২০১২ এবং বাংলাদেশ প্রতিযোগীতা কমিশনের কার্যাবলী বিষয়ক অবহিত করণ” কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গতকাল ( সোমবার) সকাল ১১ টা অনুষ্টিত এই কর্মশালায় সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি, উদ্যাক্তা, ভোক্তা সহ উপস্থিত ছিলেন সংবাদকর্মীও।
কর্মশালায় প্রতিযোগিতা আইনের কার্যাবলীর গুরুত্ব উপস্থাপনা করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক নূর উদ্দিন যোবায়ের।তার উপস্থাপনায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতা আইন বিষয়ে সমখ্যক ধারনা নেন আমন্ত্রীতরা। কর্মশালীর এক পর্যায়ে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সংশ্লিষ্টরা। এর পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশন চেয়ারপার্সন এ এইচ এম আহসান বলেন, ভোক্তাদের সুরক্ষায় অন্যতম ভূমিকা রাখবে প্রতিযোগিতা আইন। এর ইতিবাচক সুফল পেতে হলে, এ বিষয়ে ব্যাপকতা দিতে হবে ছড়িয়ে। যদিও এখন পর্যন্ত প্রতিযোিগতা আইন জনগনের কানে কাংখিত সূচকে পৌছেনি তবে সেই লক্ষ্যে কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এই আইন ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে সুস্থ প্রতিযোগিত নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মনোপলি, অলিগপলি, বাজার কারসাজির, দরপত্র কারসাজি এবং ভোক্তাদের স্বার্থবিরোধী কার্যক্রম রোধে করার মাধ্যেম একটি সুষ্ট, মুক্ত ও স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য। এতে ঘটবে অর্থনীতিক উন্নয়ন, সেই সাথে অসুস্থ প্রতিযোগিতার প্রতিরােধ, নিয়ন্ত্রন বা নির্মূল। তিনি বলেন, কর্তৃত্বময় যেকােন অবস্থানের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিকার সম্ভব প্রতিযোগি আইন। এ জন্য অভিযোগ গ্রহন সহ স্ব-উেদ্যাগে পদক্ষেপ গ্রহন করে শাস্তির বিধান দেয়ার মতো সুযোগ রয়েছে কমিশনের।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয়ূ সরকার উপ পরিচালক সুবর্ণা সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মো: নুরের জামান চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) ডি,এম, হাসিবুল বেনজির।
Leave a Reply