1. admin@sylheterkotha.com : admin :
May 23, 2025, 10:25 pm
Title :
তারেক রহমানের পক্ষথেকে রিকশা চালকের হাতে বিমানের টিকেট তুলে দিলেন কয়েস লোদী সিলেট কোর্ট পয়েন্টে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত ঢাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ৭টি ওয়ার্ড যুবদলের প্রস্তুতি সভা সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ৫টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের সাথে সিলেট মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা শ্রীশ্রী বামজঙ্গা মহাপীঠ কালী মন্দির রক্ষায় জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি সিএনজি ফিলিং ষ্টেশন এন্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স এসোসিয়েশন সিলেটের সাধারণ সভা সম্পন্ন নজরুল চেতনায় বাংলাদেশের পুনর্গঠন সিলেটে এক নারীর আত্মহত্যা-লাশ উদ্ধার অবিলম্বে বিআরটিএ কর্তৃক ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করুন: সংগ্রাম পরিষদ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার ও সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ওসমানীনগর উপজেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা

চট্টগ্রাম বন্দর কাজ দ্রুত করার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

  • Update Time : Wednesday, May 14, 2025
  • 10 Time View

নিউজ ডেস্ক :: চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার কাজ দ্রুত করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেছেন, ‘আর কিছু শুনতে চাই না, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে রাজি করাতে হবে।’

বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি-৫) পরিদর্শনের পর বন্দর ও নৌপরিবহন খাতের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা এবং বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিবর্তনের শ্লথগতি দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দুনিয়ার সব জিনিস এত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, আমাদের এখানে এটা (চট্টগ্রাম বন্দর) পাল্টায় না কেন? এটা আজকের প্রশ্ন না। একজন চট্টগ্রামবাসী হিসেবে এ পথে আসা-যাবার ক্ষেত্রে দেখা হয়, বিশেষ করে যখন গাড়ি চলে না, আটকে যায়, কী হল- ট্রাকে ভর্তি রাস্তা, মাল খালাস করতে পারছে না। এদিকে প্লেন মিস করে ফেলব কি না, এই দুর্ভাবনা। কাজেই এটা সম্পর্কে চিন্তা না করে উপায় নেই। কথাবার্তা বলেছি, মাঝে মাঝে লেখালেখি করেছি। তো এবার যখন সুযোগ পেয়েছি, প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছি এটার দিকে নজর দেওয়ার, কীভাবে এটাকে পরিবর্তন করা যায়।’

‘লুৎফে সিদ্দিকীকে (বিশেষ সহকারী) দায়িত্ব দিলাম, এটা তোমার দায়িত্ব, যেমনে পার মেরে-ধরে এটাকে সোজা করতে হবে, এটাকে সত্যিকার বন্দর হিসেবে তৈরি করতে হবে। আমরা খুবই ইমপ্রেসড, যেগুলো ছবি এখানে দেখাল, ভালো লাগে, গর্ব লাগে। কিন্তু দুনিয়া তো এখানে আটকে নেই, দুনিয়া এর থেকে বহুদূর চলে গেছে। স্ক্রিনে বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর এবং বর্তমানে বিশ্বের বন্দর পাশাপাশি দেখালে তাহলে বোঝা যেত আমরা কোথায় পড়ে আছি। আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘এই পিছিয়ে থাকা নিয়ে কারও মধ্যে কোনো দুঃখও দেখি না। ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করে, এখানে গোলমাল, ওখানে গোলমাল, কিন্তু সার্বিকভাবে যে বিরাট পরিবর্তন দরকার, এটার গরজ কারও খুব আছে বলে মনে হয় না। তো, সেজন্যই ঠেলাঠেলি করছিলাম, বারবার লুৎফেকে পাঠাচ্ছিলাম। বন্দর চেয়ারম্যানের কথা শুনে একটু আশ্বস্ত হলাম যে, একটা লোক অন্তঃত পেছনে লেগে আছে। আমাদের দরকার তাকে একটু সাহায্য করা।’

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনায় দ্রুত বিদেশি সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সাখাওয়াতকে (নৌপরিবহন উপদেষ্টা) বললাম, আর কিছু শুনতে চাই না, এটার পেছনে থাক, অমুক তারিখের মধ্যে এগুলো সব দিয়ে দিতে হবে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় পৃথিবীর সেরা যারা তাদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে, যেভাবেই হোক। মানুষ রাজি না থাকলে তাদের রাজি করাতে হবে। মানুষকে গররাজি করিয়ে করার দরকার নেই, রাজি করিয়েই করতে হবে। এটা এমন একটা বিষয়, পুরো বিষয়টা শুনলে গররাজি হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবাই চায় তার ভালো হোক। না বোঝার কারণে বলে যে, এটা ভালো হবে না, এটা আমাদের ক্ষতি হবে, ওটা-তো আমাদের ছিল, ওটা কেন দিয়ে দিচ্ছেন ? কিন্তু যখন দেখবে এটা সবার জন্য ভালো হবে, তাহলে আপত্তি থাকবে না।’

‘তো, আমি এখানে আসার আগে আবার পাঠালাম আশিককে (বিডা চেয়ারম্যান), যাও, ব্যাখা কর সবার কাছে আমরা কী করতে চাচ্ছি, কেন চাচ্ছি। সে-ও চেষ্টা করল। আমার এ চিন্তাটার কারণটা হল, বাংলাদেশের অর্থনীতি যদি পাল্টাতে হয় এবং আমাদের পাল্টাতে হবে, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দর হলো ভরসা। এটাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন কোনো পাতায়, নতুন কোনো অধ্যায়ে প্রবেশের সুযোগ নেই। এর পথ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পথ খোলা। এর পথ না খুললে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যতই লাফালাফি, যতই চাপাচাপি করি, কোনো লাভ হবে না।’
বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কিন্তু এ হৃদপিণ্ডকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড হতে হবে। এ হৃদপিণ্ড শুধু বাংলাদেশের জন্য না, আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত, যে কারণে নেপালের কথা বললাম, ভূটানের কথা বললাম, সেভেন সিস্টার্সের কথা বললাম, সবাই হৃদপিণ্ড একটাই। নেপালের তো হৃদপিণ্ডই নেই। তাই নেপাল, ভূটান, সেভেন সিস্টার্স যদি এটার সঙ্গে যুক্ত হয়, তাহলে তারাও লাভবান হবে, আমরাও লাভবান হবো। যারা এটাকে বাদ দেবে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা তাদেরও কাম্য নয়, আমাদেরও কাম্য নয়। আমরা চাই, সবাই মিলে আমরা যেন এ বন্দর থেকে অর্থনীতির শক্তিটা পাই।’

বন্দরকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে প্রশ্ন শুনি যে, বিদেশিকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা ইন্ডিয়াতে স্বাস্থ্যের জন্য যান না ? দলে দলে যান, যখন বন্ধ করে দিয়েছে তখন বলছেন কেন যেতে দিচ্ছে না ? কাগজ উলটাইলেই দেখা যায়, নেতারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। কিন্তু বন্দরের কথা যখন আসে, না না এখানে কেউ আসতে পারবে না। ভাই, আমাদের চিকিৎসা দরকার তো। এ হৃদপিণ্ডের চিকিৎসা দরকার। এটার পেছনে আমাদের বিশ্বের সেরা চিকিৎসক দিতে হবে, যেন এটাকে বিশ্বসাইজের হৃদপিণ্ড বানিয়ে দেওয়া হয়, কোনো সমস্যা যাতে না হয়। এ হৃদপিণ্ড ক্রমাগত মজবুত হবে, ক্রমাগত শক্তিশালী হবে, ক্রমাগত বৃহত্তর হবে।’

‘পৃথিবীতে অনেকে আমাদের পেছনে থেকে অনেক খারাপ অবস্থা থেকে এখন আমাদের ডিঙ্গিয়ে শত, শত মাইল চলে গেছে। তাহলে আমরা কেন হতভাগা জাতি হলাম? এটার পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের অনেক বড় ডাক্তার দিয়ে কাজ করতে হবে।’

বন্দর পরিচালনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করলে দেশের লাভ হবে মন্তব্য করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের লাভ, কারণ এর পেছনে আমাদের কোনো টাকাপয়সা খরচ লাগবে না। বিল্ড, অপারেট এন্ড ট্রান্সফার। তোমরা বানাও, তোমরা কাজ কর, রোজগার কর, এই মেয়াদের মধ্যে আমাদের দিয়ে দিতে হবে। আমরা এক পয়সাও খরচ করবো না। তখন আমাদের পয়সা বেঁচে গেল, কাজটা হয়ে গেল। তারা যখন কাজে নামবে, তারা দুনিয়াতে শত, শত পোর্ট পরিচালনা করে, ওরা হল দুনিয়ার সেরা, যাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি, তারা হল দুনিয়ার সেরা, পৃথিবীর যে কোনো বন্দরে যান, তাদের মার্কা দেখবেন।’

‘সুতরাং তারা যখন দায়িত্ব নেবে, তারা আমাদের মতো করে পরিচালনা করবে না। তারা বিশ্বের বন্দর যেভাবে চালায়, কারণ এটা তাদের বন্দর, কারণ আমরা যখন লীজ দেব, তখন সেটা তাদের বন্দর, এটা থেকে তাদের টাকাটা ওঠাতে হবে, তারা তাদের সেই প্রযুক্তি দিয়ে বানাবে। তারা আগে যত বন্দর বানিয়েছে, টার্মিনাল বানিয়েছে, এরপর তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি, সর্বশেষ অভিজ্ঞতা এখানে আনবে। তাদের লক্ষ্য থাকবে, এই বন্দর আমরা এমনভাবে করবো, যাতে টাকাটা ওঠাতে পারি, আরও বেশি টাকা ওঠাতে পারি।’

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে বেশ কয়েকটি টার্মিনাল নির্মাণের ফলে কনটেইনার জট কমবে। আমি আশা করি ছয় মাসের মধ্যে আপনারা পরিবর্তনটি লক্ষ্য করবেন।’চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও সভায় বক্তব্য দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews