1. admin@sylheterkotha.com : admin :
  2. editor@sylheterkotha.com : editor :
December 20, 2025, 2:46 am
Title :
এমরান চৌধুরীর পরামর্শে গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দুআ-প্রার্থনা দেশে পৌঁছেছে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মরদেহ শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুতে খন্দকার মুক্তাদিরের শোক হাদির মাগফেরাত কামনায় সিলেটে জামায়াতের দোয়া মাহফিল সিলেটে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৮তম আবির্ভাব বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব পালিত সিটি মডেল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন ওসমান হাদিকে বাঁচানো গেল না সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বস্তিসমুহের সমস্যাগুলো নিয়ে কমিউনিটি কর্মশালা “সিলেটে সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব-সিলেটে নাগরিক সংলাপে বক্তারা

বড়লেখায় একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক ‘সাজানো মামলা’ দিয়ে ব্যবসায়ী সাইদুলকে হয়রানি!পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ

  • Update Time : Monday, September 22, 2025
  • 326 Time View

Manual3 Ad Code

সিলেটের কথা ::: বড়লেখায় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

Manual3 Ad Code

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক ‘সাজানো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) পৌর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের পরিবার হয়রানিমূলক মোট ১১টি মামলার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসব মামলার পেছনে একটি কুচক্রী মহলের অপতৎপরতার অভিযোগও তোলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও এ এফ রহমান হলের বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রাক্তন সভাপতি জাপান প্রবাসী নুরুল ইসলাম রাফিন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সাইদুল ইসলাম সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না থাকলেও, সব সময় মানবিক ও সমাজসেবামূলক কাজ করে এসেছেন। বিশেষ করে করোনাকাল ও বিভিন্ন দুর্যোগে গরিব মানুষের পাশে ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট ফেস্টিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের দিন সাইদুল ইসলাম বড়লেখার আপামর জনসাধারণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ওইদিন দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানল হতে সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তার নেতৃত্বেই বড়লেখা থানা ভবনসহ বহু সরকারি স্থাপনা রক্ষা পায় এবং বড় ধরনের সহিংসতা এড়ানো সম্ভব হয়। অথচ আজ তিনি ব্যক্তিকেই ষড়যন্ত্রের শিকার। তার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল একের পর এক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলা দিয়ে যাচ্ছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালের ২০ এপ্রিল প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর থেকে, দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন। যখনই তার জামিন হয়েছে, তখনই প্রতিপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে নতুন মামলা দিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। এসব মামলার পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্র এবং প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তার সহযোগিতা করছেন। পুলিশ প্রশাসন কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়া একের পর এক মিথ্যা মামলা রেকর্ড করে সাইদুলের প্রতি অবিচার করছে। এ ধরণের হয়রানি শুধু একজন ব্যক্তির মৌলিক মানবাধিকারকেই লঙ্ঘন করছে না, বরং সমগ্র সমাজব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের হুমকি তৈরি করছে। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে নীতিগুলো থাকা উচিত, এ ঘটনার মাধ্যমে সেগুলোর গুরুতর অবক্ষয় প্রতিফলিত হচ্ছে।

Manual8 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলায় হয়, সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে সবগুলোই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মামলার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, ফলে মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে গুরুতর প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। কিছু মামলা এতটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে, একটিতে তার ১৪ বছরের ছেলেকেও আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় বাদী বলেছেন, সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং তাঁকে এ মামলায় অন্যায়ভাবে জড়ানো হয়েছে। সাইদুল ইসলাম সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের একজন সমর্থক ছিলেন এবং কোনো ধরনের সহিংসতা বা বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। সাইদুল ইসলামের নাম এজাহারে উল্লেখ ছিল না। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে পুলিশের একতরফা সিদ্ধান্তে। যা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।

Manual3 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তরুণ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় ৩টি মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা কারাবরণও করেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময় শুধুমাত্র মামলার শিকার হননি; একাধিকবার তাকে হত্যার লক্ষ্যে তার উপর প্রাণঘাতি হামলাও চালানো হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলায় হয়, সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করার পরও কুচক্রি মহল থেমে থাকেনি। নানাভাবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। পাশাপাশি, সাইদুল ইসলামের স্ত্রীর কাছে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাইদুল ইসলামের সন্তানরা মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

Manual2 Ad Code

সংবাদ সম্মেলনে বলায় হয়, কিছু অসাধু ব্যক্তি বাদী ও সাক্ষী হিসেবে একত্রিত হয়ে বড়লেখায় একটি মামলা বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এক মামলায় যিনি বাদী, অন্য মামলায় তাকেই সাক্ষী করা হয়েছেÑএভাবে মিলেমিশে একটি কৃত্রিম এবং উদ্দেশ্যমূলক মামলা চক্র পরিচালনা করা হচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, স্থানীয় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা এই সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করছেন। এই সহযোগিতার সুযোগ নিয়েই তারা সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বারবার মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে যাচ্ছেন। অথচ প্রশাসনের একাধিক সংস্থা বিষয়টি জানার পরও বারবার এই ধরনের মামলা গ্রহণ করে চলেছেন, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী ও অসৎ উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত দেয়।

সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি, পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার কার্যকর ভূমিকা এবং সাইদুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীণ মুরব্বি হাজী আব্দুল মতিন, ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের চাচা হাজী আব্দুল মালিক, মো: আলাউদ্দিন, চাচাতো ভাই হাজী সিরাজুল ইসলাম, সাইদুল ইসলামের বোন জামাই ছাইম উদ্দিন, সাইদুল ইসলামের স্ত্রী রওশনারা ইসলাম ও ছেলে রাহিম প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!