সিলেটের কথা ::: জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, বঙ্গবীর এম.এ.জি ওসমানীর ১০৭ তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় জনতা পার্টির সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির নানান কর্মসুচী গ্রহন করে।
সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ ঘটিকায় জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত এডভোকেট নুরুল ইসলাম খানের ছেলে এডভোকেট তাহমিনুল খানের নেতৃত্বে যরত শাহজালাল মাজারে বঙ্গবীর ওসমানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত ও করে দলটি সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় জাতীয় জনতা পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি, এডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান বলেন, ছাত্র জনতার দুঃসাহসিকতা ও আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী সরকারের দুঃসশাসনের অবসান হয়েছে। আমি জাতীয় জনতা পার্টির পক্ষে আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আহতদের সুস্থতা কামনা করি।
গণঅভ্যুত্থানের পর ড.ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে অন্তর্বর্তীকালীন কালীন সরকার গঠন করা হয়। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় জনতা পার্টি ও জেনারেল ওসমানী বিগত সরকার গুলোর আমলে নানা বৈষম্যের শিকার। যেমন দলকে নিবন্ধন না দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে না দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক পদবী কেড়ে প্রধান সেনাপতি করা, প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা ইত্যাদি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাই অনতিবিলম্বে জাতীয় জনতা পার্টির নিবন্ধন পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
এসময় উপস্তিত ছিলেন জাতীয় কমিটির মুক্তিযুূদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মুহিত, সেলিম আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুহিন আহমদ খান, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি শফিকুর রহমান শফিক, সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
পরে বিশেষ মোনাজাতে প্রয়াত চেয়ারম্যান এডভোকেট নুরুল ইসলাম খান ও সহ দলের সকল নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা ও অসুস্থ সকলের রোগমুক্তি কামনা করা হয়।
Leave a Reply