সিলেটের কথা ::: রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় লাঠিচার্জ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের বাধার মুখে সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিজয়নগর আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে সংবাদ সম্মেলন করার আগ মুহূর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে নেতাকর্মীদের। এ সময় লাঠিচার্জে দলটির সভাপতি নুরুল হক নুরসহ ৫০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ জানান, আহত নুরকে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ এবং দলটির নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পল্টন জিরো পয়েন্টে সমাবেশ ডাকে গণঅধিকার পরিষদ। এই খবর পেয়ে জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে দলের মহাসচিব ব্যারিষ্টার শামীম পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, আলমগীর সিকদার লোটনসহ দলটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অবস্থান নেন কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়ে যাওয়ার পথে শ্লোগান পাল্টা শ্লোগানে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আতিকুল আলম খন্দকর সাংবাদিকদের বলেন, “সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।”
গণঅধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা পরিকল্পিতভাবে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে তাৎক্ষণিক দলটির সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, “ছাত্রলীগ যুবলীগের ক্যাডারদের সঙ্গে ফাসিস্টের দোসর জিএম কাদেরের লোকজন বিনা উসকানিতে আমাদের মিছিলে হামলা চালিয়েছে। আমাদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে।”
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, “গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আগেও আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আজকেও মিছিল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। আমাদের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে আইএসপিআর বলেছে, পুলিশ ‘সহযোগিতা’ চাওয়ায় দুই দলের সংঘর্ষের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা সম্পৃক্ত হন।
আইএসপিআর বলছে, ‘শান্তিপূর্ণ সমাধানের সব চেষ্টা অগ্রাহ্য’ হওয়ার পর সেনাবাহিনী সেখানে ‘মব ভায়োলেন্স’ ঠেকানোর জন্য বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্যের আহত হওয়ার কথাও জানায় আইএসপিআর।
Leave a Reply