সিলেটের কথা :: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, “নারীকে দক্ষ করে তুলতে পারলেই পরিবার, সমাজ ও অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার সবসময় নারী উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আজও বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নারীদের জন্য দক্ষতা প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ নারীরা এগিয়ে থাকলে সমাজও এগিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিকাশে বিএনপির সরকারই ভিত্তি তৈরি করেছিল, যার ফলে আজ এই খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারী উন্নয়নে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন—তাঁর আমলেই মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত হয়, গার্মেন্টস শিল্পে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ শুরু হয়, নারী পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যৌতুক নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়।”
সোমবার (২৩ জুন) দুপুর ২টায় সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারার ইলাশপুরে ‘আব্দুল হক ফাউন্ডেশন (ইউকে)’ ও ‘উত্তর কুশিয়ারা চ্যারিটি’র উদ্যোগে আয়োজিত অসহায় নারী ও তরুণীদের জন্য ফ্রি সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“বেগম জিয়ার শাসনামলে নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে বিপুল অগ্রগতি সাধিত হয়। বিনা বেতনে শিক্ষা, উপবৃত্তি, ‘খাদ্য বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে মেয়েদের জন্য বিশেষ সহায়তা, এবং রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব নিশ্চিত করা হয়েছিল তাঁর আমলে,” বলেন কাইয়ুম চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি এখনও নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দলের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচিতে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাধিক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেককে একটি করে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হবে, যাতে তারা ঘরে বসেই আয় করে আত্মনির্ভরতা অর্জন করতে পারেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফেঞ্চুগঞ্জ সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ জনাব আব্দুর রহিম, উপজেলার বয়োজ্যেষ্ঠ কৃষি সংগঠক হাবিবুর রহমান মুসা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা সাহেদ মেম্বার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী আয়শা জান্নাত মনি ও সজিবুর রহমান সজিব।
অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠক মাহবুব আলম, শাহিন আহমেদ, দিনার শাহ ও সাংবাদিক শামসুদ্দিন।
Leave a Reply