1. admin@sylheterkotha.com : admin :
  2. editor@sylheterkotha.com : editor :
December 17, 2025, 3:56 am
Title :
মহান বিজয় দিবসে সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের বিজয়ের পতাকা মিছিল সিলেট-তামাবিল সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ১২ মহান বিজয় দিবসে সিসিক প্রশাসকের শ্রদ্ধা নিবেদন মহান বিজয় দিবসে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি ধানের শীষেই জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে : অ্যাড. এমরান চৌধুরী মহান বিজয় দিবসে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন কালে খন্দকার মুক্তাদির সিলেট জিন্দাবাজার থেকে লাশ উদ্ধার মহান বিজয় দিবসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবিরের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গোয়াইনঘাটে মহান বিজয় দিবস পালিত সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান

ভূমিকম্পের রেড জোনে সিলেট: মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেই

  • Update Time : Saturday, November 22, 2025
  • 47 Time View

Manual3 Ad Code

সিলেটের কথা ::: ভূমিকম্পের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ‘রেড জোনে’ অবস্থান দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনপদ সিলেট। অনেকটা ডাউকি ফল্টের ওপর দাঁড়িয়ে এই অঞ্চল। তার পরও কোনো সতর্কতামূলক উদ্যোগই নেই। ভূমিকম্প মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া সুপারিশগুলো আস্তবায়নেও উদ্যোগ নেই। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি।

২০১১ সালে নগরীর মাস্টারপ্ল্যান হলেও সেটা এখন ফাইলবন্দি এক কেতাব মাত্র। বেশির ভাগ ভবনেরই নেই ফায়ার সার্ভিসের বাধ্যতামূলক সনদ। এমনকি এ সনদ নেই খোদ নগর ভবনের প্রধান দপ্তর বহুতলা ভবনেরও!

জানা যায়, ১৮৯৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ওলটপালট করে দিয়েছিল তৎকালীন আসামের সিলেটকে। নদীর গতি পরিবর্তন, পাহাড় টিলার ভূপ্রকৃতি সব কিছুতেই পড়েছিল বিরাট ছাপ। এরপর ১৯৮০ সালের ভূমিকম্প ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছিল সিলেটকে। ২০২১ সালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সাতবার ভূমিকম্প হলে কিছুটা নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুই বছরে এই অঞ্চলে অন্তত ১৫ বারেরও বেশি ভূকম্পন হয়েছে। এসব ভূমিকম্প ছিল ৫.৯ ও ৫.৫ মাত্রার। এই ভূমিকম্পগুলো ডাউকি ও কপিলি ফল্টকে সক্রিয় থাকার ইঙ্গিত বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।

২০২১ সালের মে ও জুনে সিলেট নগরীর আংশিক ভবন পরীক্ষার পর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রকাশ করে সিসিক। ওইদিনই নগরের সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানসন ও রাজা ম্যানসসহ সাতটি বিপণিবিতানকে ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিপণিগুলো এখন আরও জমজমাট। রঙ করে নতুনত্ব এনে চলছে হরদম। একই সময়ে নগরের প্রায় ৪২ হাজার বহুতলা ভবন পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সিসিকের দাবি, অর্থাভাবে ভবন পরীক্ষা সম্পন্ন করানো যাচ্ছে না।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ বলেন, সিলেট, শাহজিবাজার ও মধুপুরে ফল্ট আছে। ২০২১ সালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭ বার ভূমিকম্পের পর তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জরিপ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি বাজেটও প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু আজও তা আলোর মুখ দেখেনি। তিনি সিলেটে দ্রুত একটি ভূমিকম্পের সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, নতুন ভবনের নকশায়ও নেওয়া হয় চাতুরতার আশ্রয়। দেখানো হয় একটি মাত্র কলাম। যা থেকে ভবনটি ভূমিকম্প সহনশীল কিনা বুঝে ওঠা কঠিন।

Manual3 Ad Code

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, নতুন অপরিকল্পিত ভবন বড় ধরনের ঝুঁকি। আর সিলেটের রাস্তা এমনিতেই খুব সরু। যে কোনো বড় ধরনের ডিজাস্টারে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হবে। অথচ সবাই বাণিজ্য নিয়েই ব্যস্ত, এদিকে কারও নজর নেই। কেঁপে উঠলে নড়েচড়ে বসেন সবাই।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পূর্বের চালানো জরিপ ও প্রস্তাবনা সামনে রেখে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রধান প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। নতুন করে অভিযানের ভাবনা হচ্ছে।

Manual2 Ad Code

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন মৃদু ভূ-কম্পন বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস। তাদের মতে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের মধ্যে অন্তত ২০টির উৎপত্তিস্থল ডাউকি ফল্টে, অর্থাৎ সিলেটে বা সন্নিকটে। আর ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ৮০ শতাংশ বহুতলা ভবন ভেঙে পড়তে পারে সিলেটে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে অবস্থান দূরে হলেও ঢাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ডেঞ্জার জোন সিলেট কতটা প্রস্তুত এই প্রশ্ন উঠছে সবমহলে।িসিলেটে
ভূমিকম্পের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ‘রেড জোনে’ অবস্থান দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের জনপদ সিলেট। অনেকটা ডাউকি ফল্টের ওপর দাঁড়িয়ে এই অঞ্চল। অথচ এখানে আজো উচ্চ পর্যায়ের কোনো জরিপই হয়নি। স্থানীয়ভাবে চালানো জরিপের তথ্য আঁৎকে ওঠার মতো। তার পরও কোনো সতর্কতামূলক উদ্যোগই নেই। ভূমিকম্প মোকাবিলায় দেওয়া সুপারিশগুলোর দিকেও কারও নজর নেই। ফলে চরম ঝুঁকিতে বসবাসকারী সিলেটের বহুতলা ভবনের বাসিন্দারা আছেন জীবনঝুঁকির আতঙ্কে।

সেই ২০১১ সালে নগরীর মাস্টারপ্ল্যান হলেও সেটা এখন ফাইলবন্দি এক কেতাব মাত্র। বেশির ভাগ ভবনেরই নেই ফায়ার সার্ভিসের বাধ্যতামূলক সনদ। এমনকি এ সনদ নেই খোদ নগর ভবনের প্রধান দপ্তর বহুতলা ভবনেরও!

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৮৯৭ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ওলটপালট করে দিয়েছিল তৎকালীন আসামের সিলেটকে। নদীর গতি পরিবর্তন, পাহাড় টিলার ভূপ্রকৃতি সব কিছুতেই পড়েছিল বিরাট ছাপ। এরপর ১৯৮০ সালের ভূমিকম্প ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছিল সিলেটকে। ২০২১ সালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে সাতবার ভূমিকম্প হলে কিছুটা নড়েচড়ে বসেন সংশ্লিষ্টরা। গত দুই বছরে এই অঞ্চলে অন্তত ১৫ বারেরও বেশি ভূকম্পন হয়েছে। এসব ভূমিকম্প ছিল ৫.৯ ও ৫.৫ মাত্রার। এই ভূমিকম্পগুলো ডাউকি ও কপিলি ফল্টকে সক্রিয় থাকার ইঙ্গিত বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। অথচ সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন।

২০২১ সালের মে ও জুনে সিলেট নগরীর আংশিক ভবন পরীক্ষার পর অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকা প্রকাশ করে সিসিক। ওইদিনই নগরের সুরমা মার্কেট, সিটি সুপার মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, মিতালী ম্যানসন ও রাজা ম্যানসসহ সাতটি বিপণিবিতানকে ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। অথচ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিপণিগুলো এখন আরও জমজমাট। রঙ করে নতুনত্ব এনে চলছে হরদম। একই সময়ে নগরের প্রায় ৪২ হাজার বহুতলা ভবন পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সিসিকের দাবি, অর্থাভাবে ভবন পরীক্ষা সম্পন্ন করানো যাচ্ছে না।

Manual1 Ad Code

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুশতাক আহমদ বলেন, সিলেট, শাহজিবাজার ও মধুপুরে ফল্ট আছে। ২০২১ সালে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৭ বার ভূমিকম্পের পর তড়িঘড়ি করে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের জরিপ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একটি বাজেটও প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু আজও তা আলোর মুখ দেখেনি। তিনি সিলেটে দ্রুত একটি ভূমিকম্পের সতর্কীকরণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, নতুন ভবনের নকশায়ও নেওয়া হয় চাতুরতার আশ্রয়। দেখানো হয় একটি মাত্র কলাম। যা থেকে ভবনটি ভূমিকম্প সহনশীল কিনা বুঝে ওঠা কঠিন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, নতুন অপরিকল্পিত ভবন বড় ধরনের ঝুঁকি। আর সিলেটের রাস্তা এমনিতেই খুব সরু। যে কোনো বড় ধরনের ডিজাস্টারে উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত হবে। অথচ সবাই বাণিজ্য নিয়েই ব্যস্ত, এদিকে কারও নজর নেই। কেঁপে উঠলে নড়েচড়ে বসেন সবাই।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পূর্বের চালানো জরিপ ও প্রস্তাবনা সামনে রেখে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রধান প্রকৌশলী আলী আকবর বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। নতুন করে অভিযানের ভাবনা হচ্ছে।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন মৃদু ভূ-কম্পন বড় ধরনের ভূমিকম্পের আভাস। তাদের মতে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের মধ্যে অন্তত ২০টির উৎপত্তিস্থল ডাউকি ফল্টে, অর্থাৎ সিলেটে বা সন্নিকটে। আর ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেই ৮০ শতাংশ বহুতলা ভবন ভেঙে পড়তে পারে সিলেটে।

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে অবস্থান দূরে হলেও ঢাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ডেঞ্জার জোন সিলেট কতটা প্রস্তুত এই প্রশ্ন উঠছে।

Manual7 Ad Code

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Sylheter Kotha
Theme Customized By BreakingNews

Follow for More!