আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। ভারত থেকে আসা শতদ্রু, রাভি ও চেনাব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বহু এলাকা ডুবে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হয়েছেন এবং লাখ লাখ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
ভারত থেকে বাঁধের পানি ছাড়ার পর ভারী বর্ষণে নদীগুলো ফুলেফেঁপে উঠে চারপাশ প্লাবিত করে। এখন বন্যা দক্ষিণ পাঞ্জাবেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সরকার বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে আছে শিয়ালকোট, নারওয়াল, হাফিজাবাদ, সারগোদা, লাহোর, কাসুর, ওকারা, গুজরানওয়ালা ও ফয়সালাবাদ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘গুজরানওয়ালা এবং গুজরাট বিভাগের কমিশনারের মতে, বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে শিয়ালকোটের সামব্রিয়ালে একই পরিবারের পাঁচজন, গুজরাটে চারজন, নারোওয়ালে তিনজন, হাফিজাবাদে দুজন এবং গুজরানওয়ালায় একজন।’
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, ২৬ জুন থেকে মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ৮০৫ জন নিহত এবং ১,১০৭ জন আহত হয়েছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যেখানে ৪৭৯ জন মারা গেছেন এবং ৩৪৭ জন আহত হয়েছেন।
Leave a Reply