সিলেটের কথা ::: পাবনার চাটমোহরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে অভিযুক্ত এএসআই শাকিল আহমেদ গুনাইঘাছা ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকা ওই নারীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বর্তমানে চাটমোহর থানায় কর্মরত। অপরদিকে ওই নারী মাসুরা খাতুনের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলায়। তিনি গুনাইঘাছার রামচন্দ্রপুর গ্রামের প্রবাসী শহীদের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসুরা খাতুনের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়েতে একটি সন্তান হলেও বনিবনা না হওয়ায় তিনি স্বামীর সংসার ছেড়ে ঢাকায় চলে যান। পরে সৌদি প্রবাসী শহীদের সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেম এবং বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শহীদ সৌদি আরবে পাড়ি জমান। স্বামীর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে মাসুরা চাটমোহর পৌরসদরের চৌধুরীপাড়ায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন।
অন্যদিকে, এএসআই শাকিল আহমেদের প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর দ্বিতীয়বার এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে বিয়ে হয়, তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে শাকিল চাটমোহর থানায় যোগ দেন এবং একই এলাকার বাসিন্দা মাসুরার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরিবারের বাধা সত্ত্বেও ১৪ আগস্ট দুপুরে মাসুরাকে নিয়ে নিখোঁজ হন শাকিল। উভয় পরিবারের পক্ষ থেকে বহু খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান মেলেনি।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর চাটমোহর পৌরসভা ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, থানার ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানের সময় এ ধরনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়া একজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য লজ্জাজনক। তারা অভিযুক্ত এএসআই ও সংশ্লিষ্ট নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকেও মাসুরা খাতুনকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এএসআই শাকিলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, “আমরা বিষয়টি জানি, তবে শাকিল এখনো বাড়ি ফেরেনি।”
চাটমোহর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আঞ্জুমা আক্তার বলেন, “ঘটনাটি আমরা জেনেছি। তদন্ত শেষে এএসআই শাকিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Leave a Reply