সিলেটের কথা ::: সিলেটে চা দিতে দেরী হওয়ায় রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ দিকে, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আব্বাসকে বিকেলে কাজিরবাজার এলাকা গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে নিহতের ভাই রেজু মিয়া আব্বাসকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।মামলা দায়েরের পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক। বাকী আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
ওসি জিয়াউল হক বলেন, এই ঘটনায় পাঁচজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান আব্বাসকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার সকালে সিলেটে হোটেলে চা দেওয়াতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে হোটেল কর্মচারী রুমন খুন হন।
রবিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হোটেল কর্মচারী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সব্দলপুর গ্রামের মৃত.তখলিছ মিয়ার ছেলে মো. দিনার আহমদ রুমন। তার বয়স আনুমানিক ২২ বছর।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নগরীর কাজিরবাজার তোপখানা এলাকার বাসিন্দা আব্বাস মিয়া সকালে নাস্তা করতে কাজির বাজারে আসেন। তিনি প্রায়ই সকালে কাজিরবাজারে নাস্তা করতে আসেন।
রবিবার সকালে তিনি জব্বার মিয়ার হোটেলে এসে প্রথমে পরটা-ভাজি খান তারপর তিনি রুমনকে ডাক দিয়ে চায়ের অর্ডার দেন। এসময় চা দিতে দেরি হলে রুমনের সাথে আব্বাস মিয়ার বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এসময় দোকানে থাকা লোকজন ও দোকান মালিক মিলে আব্বাস মিয়াকে শান্ত করলেও দোকান কর্মচারী রুমনের বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আব্বাস মিয়া তার ছেলেদের ফোনকল দিয়ে ঘটনাস্থলে ডেকে আনেন। ছেলেরা এসে দোকানের কর্মচারী রুমনকে জিজ্ঞাসা করলে দুপক্ষের বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
এসময় আব্বাস মিয়ার ছেলেরা রুমনকে মারধর করতে থাকেন এবং তার ছোট ছেলে রোহান থাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে স্থানীয়রা রুমনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a Reply