রেজওয়ান আহমদ :: দরিদ্র পরিবারের সন্তান আকল আলী, গ্রামের ছোট্ট একটি টিনের ঘরে পরিবারের ৪ সদস্যকে নিয়ে কোনরকমে দিন চলছিল তার। কিন্তু হঠাৎ করে তার জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। গ্রামের সহজ-সরল আকল আলীর জীবনের চাকা থমকে যাচ্ছে চিকিৎসার অভাবে।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার মনিরগাতি দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের সেনপুর গ্রামের দিনমজুর ক্যান্সার আক্রান্ত আকল আলী (৪৫) সকলের সহযোগিতায় বাঁচতে চায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান আকল আলীর গলায় গত তিন মাস আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তার নাক থেকে গলা পর্যন্ত ক্যান্সার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। দিনমজুর আকল আলী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্যের বাড়িতে এবং কৃষি জমিতে কাজ করেন। নদী ও হাওরে গিয়ে মাছ মেরে যা আয় করতেন তা দিয়েই চলত পাঁচ সদস্যের পরিবার। হঠাৎ করেই তার ধরা পড়ে ক্যান্সার এর মধ্যে তার দুটি মেয়েও জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। অভাবের সংসারের মধ্যে একমাত্র উপার্জন কারী ছিলেন আকল আলী। শত কষ্ট থাকার পরেও পরিবার পরিজন নিয়ে চলছিল তার সংসার। হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি, ডাক্তারের শরাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে কয়েকটি পরিক্ষা করানোর জন্য দেন, পরিক্ষা করানোর পরেই তার রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার রিপোর্ট দেখে তাকে জানান তার গলায় ক্যান্সার হয়েছে। আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ল আকল আলীর মাথায়। ব্যয়বহুল চিকিৎসা হচ্ছে ক্যান্সার। হতদরিদ্র আকল আলীর চোখে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যরাও একমাত্র উপার্জন কারী আকল আলীর ক্যান্সারের কথা শুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ডাক্তার পরামর্শ দেন- কেমো-থেরাপি দেওয়ার জন্য, কিন্তু অসহায় আকল আলীর পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না টাকার কারণে। পরিবারের সদস্যরাও হিমশিম খাচ্ছেন তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে।
এ ব্যাপারে আকল আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, তিন মাস আগে হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার কয়েকটি পরিক্ষা করানোর জন্য বলেন। পরিক্ষা করানোর পর ডাক্তার রিপোর্ট দেখে তাকে জানান তার গলায় ক্যান্সার হয়েছে। ডাক্তার তাকে জানিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেশন করতে হবে, কিন্তু অপারেশনের আগে তাকে কেমো-থেরাপি দিতে হবে। প্রতিটি কেমো থেরাপি দিতে তার খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। অসহায় হওয়ায় আকল আলী কেমো-থেরাপি দিতে পারছিলেন না। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় কয়েকটি কেমো থেরাপি দেন তিনি। তার আরো কয়েকটি কেমো থেরাপি দেওয়া বাকি রয়েছে, কিন্তু টাকার অভাবে তিনি দিতে পারছেন না। এই কেমোথেরাপিগুলো দেওয়ার পর তার অপারেশন হওয়ার কথা বলেছেন ডাক্তার। কিন্তু দরিদ্র আকল আলীর পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই তিনি সরকার, সমাজসেবী সংগঠন, প্রবাসী এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার চেয়েছেন। তিনি বলেন, ছোট্ট দুটি মেয়ে শিশুও জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। টাকার অভাবে তাদেরও ভালো চিকিৎসা করাতে পারছি না। তিনি কয়েকটি কেমো থেরাপি দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে টাকার অভাবে এখন আর দিতে পারছেন না। আকল আলীকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৩০৫-৩৪১৩৫৩ এবং ০১৭১৬-৪৬৫৪৬৭ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply