সিলেটের কথা ::: সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে এবং তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করতে পেশাজীবী সমাজের পাশাপাশি শিক্ষকদের অবদান ছিলো অপরিসীম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা যেভাবে ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতা করেছেন, তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী দোসদের কারণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। ফলে শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ গড়ে ওঠেনি এবং শিক্ষার্থীরাও মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। “যখন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা প্রকৃত শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন, তখনই শিক্ষার্থীরা তাদের কাঙ্খিত শিক্ষা অর্জন করতে পারবে। যদি শিক্ষকরা একক দলীয়করণের বাইরে থেকে আসেন, তাহলে শিক্ষার প্রকৃত পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকরা দলীয় বিবেচনায় নয়, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পেলেই শিক্ষার্থীরা সঠিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা পাবে। এটাই শিক্ষার উন্নয়নের প্রধান শর্ত।
তিনি শুক্রবার (২৭ জুন) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সহ পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সিলেটের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন।
উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে প্রফেসর ড. মো. আশরাফ উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, প্রফেসর ড. শাহ মোহাম্মদ আতিকুল হক, প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম, প্রফেসর ড. পাবেল শাহরিয়ার, প্রফেসর ড. আফম জাকারিয়া, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকবৃন্দের মধ্যে প্রফসর ড. সিদ্দিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এমদাদুল হক,প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, প্রফেসর ড. মো. কাওছার হোসেন, প্রফসর ড. জসীম উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. মাসুদুর রহমান প্রফেসর ড. সামিউল আহসান তালুকদার, এ্যাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে ডা. জামিল আহমেদ, কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, কৃষিবিদ মো. আলামিন, কৃষিবিদ আনোয়ার হোসেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মো. মেরাজুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
Leave a Reply