সিলেটের কথা :: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিলেট মহানগর এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত ধর্মনিরপেক্ষতার দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন মুসলমানদের বাড়ি ঘর, মসজিদ মাদ্রাসা বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত,ইতিমধ্যে ওয়াকফ সম্পত্তি বাতিলের অজুহাতে ইতিমধ্যে ভারতের প্রায় ১৮০টি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,অবিলম্বে এই মসজিদ-মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হোক এবং সম্পত্তি হাইকোর্ট যে বাতিল করেছে অবিলম্বে এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে এবং মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের কারণে তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভবিষ্যতে মুসলমানদের উপর গণহত্যা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বাদ জুম্মা সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে গণমিছিল পুর্ববর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তাগণ আরও বলেন, ভারতের কতৃপয় হিন্দুত্ববাদী নেতারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছেন তা বন্ধ করতে হবে। ভারত যদি মনে করে, বাংলাদেশের সাথে তাদের বন্ধুত্বের প্রয়োজন নেই তাহলে অবশ্যই ভবিষ্যতে তা হাড়ে হাড়ে টের পাবেন এবং এর প্রতিফল ভোগ করতেই হবে। বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই পার্শ্ববর্তী সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই সম্পর্ক রক্ষা করেই চলার পক্ষে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নেতারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যেগুলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন তা বন্ধ করুন। ভারত সভ্যতার দিক দিয়ে অনেক পিছনে আছেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে সুখ থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশ পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক মানবতাবাদী সকল সম্পর্ক বজায় রেখে সম্পর্ক রক্ষা করে দেশ পরিচালনার চেষ্টা করে। ভারত মুসলমানদের সহ্য করতে পারে না কিন্তু বাংলাদেশের একজন ফেরারি আসামি খুনিকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীর দরবারে প্রমাণিত হয়েছে ভারত একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ভারত একটি সন্ত্রাসের মদন দাতা তাদের নিঃসন্দেহে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিশ্বের কাছে তাদের দেশের মুসলমানদের জান মালের নিরাপত্তা দিবে হবে। অন্যথায় সারা দুনিয়ার মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাক দিবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সিলেট মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী দরগা হযরত শাহজালাল রহঃ মসজিদের ইমাম ও খতিব ও মাওলানা হাফিজ আসাদ হোসাইন, উত্তর জেলা সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান কোম্পানীগঞ্জী, মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান, সিলেট বারের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ আলী, মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, মাওলানা হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদ, প্রিন্সিপাল মাহমুদুল হাসান মাওলানা মুজিবুর রহমান কাসেমী, মাওলানা াহমুদ হাসান বালিপারী, ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা হাবিব আমার শিহাব, রাঙ্গা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা ইকবাল হুসাইন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, জলালাবাদ ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহমদ, হাফিজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা মুকতার আহমদ, মাওলানা আব্দুস সালাম বালাগঞ্জী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, মাওলানা মাওলানা সদরুল আমিন আমিন, হাফিজ মাওলানা আহমদ সগীর আমকুনী, মাওলানা ইব্রাহিম সালুটিকরী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, হাজী শফিউদ্দিন আহমেদ, মাওলানা হাসান আহমদ, মাওলানা শামীম আহমদ, মাওলানা অলিউল্লাহ, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মুফতি জাকারিয়া মাহমুদ, মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা মাহদি হাসান, এডভোকেট রেজাউল হক, মাওলানা বেলাল আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা ফয়জুল বারী, মাওলানা আব্দুল মুকির চৌধুরী, হাফিজ মাহমুদুল হাসান, মাওলানা সৈয়দ সালিম কাসেমী, মাওলানা কুতুবুদ্দিন, মাওলানা আব্দুল হালিম সাতবাগী, মাওলানা মিজানুর রহমান, হাফিজ খলিলুল্লাহ মাহবুব, যুব জমিয়ত মহানগর সভাপতি মাওলানা কবির আহমেদ, আবু সুফিয়ান, হাফিজ আব্দুল করিম দিলদার আহমদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্র জমিয়ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাহমুদুল হাসান নোমান, মহানগর মহানগর ছাত্র জমিয়ত সভাপতি হাফিজ জামিল আহমেদ, সহ সভাপতি হাফিজ নুরুল ইসলাম, মাওলানা জাকির আহমদ, ছাত্রনেতা মীর আইনুল, ছাত্র নেতা সায়েম আহমদ, আজিজুর রহমান প্রমূখ।
Leave a Reply